মজিদ মাহমুদ লেখক-জীবনের শুরুতে ‘মাহফুজামঙ্গল’ (১৯৮৯) কাব্যগ্রন্থ রচনা করে খ্যাতির শীর্ষে আরোহন করেন। তিন দশকের প্রেক্ষাপটে এটি এখন মিথ। প্রবন্ধ-গবেষণার ক্ষেত্রেও তাঁর স্বাতন্ত্র্য দৃষ্টিভঙ্গির স্বাক্ষর রয়েছে। তাঁর কবিতা ও প্রবন্ধের ভাষায় সহজ -সাবলীলতার আড়ালেও লুকিয়ে থাকে সমাজে বিদ্যমান গল্পের উপাদান। সমাজ রাজনীতি ধর্ম দর্শনের সংশ্লেষে গঠিত জটিল মানব প্রকৃতি এক অনন্য চিন্তাশীলতায় তিনি প্রকাশ করেন। গল্প দিয়েই তাঁর শুরু হয়েছিল, ১৯৮৬ সলে ‘মাকড়সা ও রজনীগন্ধা’ প্রকাশের পরে প্রায় তিরিশ বছর পরে তাঁর দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘সম্পর্ক’ (২০১৬) প্রকাশিত হয়। দৈনিক পত্রিকায় ঈদ-সংখ্যায় বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হলেও ‘মেমোরিয়াল ক্লাব’ তাঁর প্রথম উপন্যাস। এ যাবৎ তাঁর গ্রন্থ সংখ্যা পঞ্চাশ। এক কথায় তিনি ‘সব্যসাচী’ লেখক। নজরুল জীবনভিত্তিক ধারাবাহিক উপন্যাস ‘তুমি শুনিতে চেয়ো না’ ইতোমধ্যে দুই বাংলায় পাঠক মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘মাহফুজামঙ্গল’, ‘বল-উপাখ্যান, ‘আপেল কাহিনি’ সিংহ ও ‘গর্দভের কবিতা’ ‘ষটকগুচ্ছ’, ‘সাহিত্যচিন্তা বিকল্প ভাবনা’, ‘ক্ষণচিন্তা’ ইত্যাদি। তিনি ১৯৬৬ সালে পাবনা জেলার চর গড়াগড়ি গ্রামে কেরামত আলী বিশ্বাস ও সানোয়ারা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। লেখালেখি ছাড়াও সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা ও সমাজসেবার পেশার সঙ্গে তিনি ঘনিষ্টভাবে জড়িত।