পশ্চিমবঙ্গের ষাটের অন্যতম কবি মৃণাল বসুচৌধুরী । পশ্চিমবঙ্গের দ : ২৪ পরগণা জেলায় ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ১৩ জানুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। যৌবনে স্বল্পদিন তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন; যদিও শেষপর্যন্ত সে ছবিটি আলোর মুখ দেখেনি। মৃণাল বসুচৌধুরীর কবিতা পাঠকদয়ে এমন এক মুগ্ধতার আবহ সৃষ্টি করে যা অনির্বচনীয়। তাঁর দীর্ঘ কাব্যজীবনের সৃষ্টিশীলতায় নিজেকে তিনি এমন এক উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যা বঙ্গভাষী কবিতা পাঠক এবং কবিতাপ্রিয় মানুষের সাথে তাঁকে নিবিড় এক বন্ধনে যুক্ত করেছে । তাঁর কবিতায় আছে সূক্ষ্ম করুকাজ, আছে পেলব অথচ তীক্ষ্ণ শব্দের সমাবেশ। তাঁর উপস্থাপনশৈলী এবং বাক্যবিন্যাস একই সাথে মায়াময় এবং স্বপ্নময়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্য : মগ্ন বেলাভূমি ১৯৬৫, শহরকলকাতা ১৯৭০, যেখানে প্রবাদ ১৯৭২, হুহাচিত্র ১৯৭৬, এই নাও মেঘ ১৯৮১, শুধু প্রেম ১৯৭২, ধারাবাহিক অবহেলা ১৯৮৭, এবার ফেরো সন্ন্যাসে ২০০০, উবভরষবফ ঘড়ংব জরহম ১৯৮৫, শব্দ নির্মাণ ২০০১, যদি ওড়ে উড়ে যায় ২০০২, মায়াবী উত্তাপ ২০০৩, স্বর্গ থেকে নীলপাখি ২০০৪, স্বপ্নে সম্পণে, ২০০৫, শূন্যতার ছায়া ২০০৫, নিঃশব্দ সাঁতার ২০০৬, যাদুঘরে শব্দহীন ২০০৭, মায়াবন্দরের দিকে ২০০৯, ঘুম উড়ে আসে ২০১০, আসছি। দাঁড়াও ২০১১ ইত্যাদি। একমাত্র কন্যা অরুন্ধতী বসুচৗধুরীর জনক মৃণাল বসুচৌধুরী ২০২১ খ্রিস্টাব্দে প্রয়াত হন।