মুহাম্মদ শামসুল হকের জন্ম ১৮ অক্টোবর ১৯৫৬ সালে, চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আল্লাই (কাগজিপাড়া) গ্রামে। বাবা মৃত নুরুল হক ও মা নুর খাতুন। ৭৭ সালে অধুনালুপ্ত দৈনিক জমানার হাত ধরে সাংবাদিকতার শুরু। জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর জন্মলগ্নে যুক্ত হয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ বছর পর (সিনিয়র সাব এডিটর) পদত্যাগ করেন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ অনুসন্ধান, গবেষণা ও প্রকাশকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং এ কেন্দ্রের সহায়ক হিসেবে প্রকাশিত ইতিহাস আশ্রয়ী পত্রিকা ‘ইতিহাসের খসড়া’র সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি ১৯৭৭-৭৯ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ মহকুমা (পটিয়া) প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন প্ৰগতিশীল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোক্তা-সংগঠক এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ও সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সহসভাপতি ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী কেন্দ্ৰীয় কমিটির সহসভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি এবং খেলাঘর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির উপদেষ্টা। তিনি আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে গবেষণামূলক লেখালেখিতে নিয়োজিত। গবেষণার মূল বিষয় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্থানীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য। বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর প্রকাশিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রায় সাড়ে চারশ। প্রকাশিত গ্রন্থ ১৩টি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ডজনাধিক সম্মাননা পেয়েছেন। তাঁর স্বাধীনতার বিপ্লবী অধ্যায়-বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য-৪৭-৭১ গ্রন্থটি ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত বই প্রতিযোগিতায় গবেষণা-সাহিত্যে সেরা গ্রন্থ নির্বাচিত হয় এবং তিনি সেরা লেখক-সাংবাদিক পুরস্কার পান। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন তাঁকে একুশে স্মারক সম্মাননা পদক প্রদান করে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করে ।