পৃথিবীতে বৈষম্য বাড়ছে নাকি কমছে? খুব উপর থেকে দেখলে একরকম মনে হবে। ধারণা হবে সবই সমান, উঁচু-নীচু নেই।
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৭ দিন ফেরতযোগ্য
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৭ দিন ফেরতযোগ্য
পৃথিবীতে বৈষম্য বাড়ছে নাকি কমছে? খুব উপর থেকে দেখলে একরকম মনে হবে। ধারণা হবে সবই সমান, উঁচু-নীচু নেই।
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৭ দিন ফেরতযোগ্য
নীচে থেকে দেখে যখন কেউ উঁচুকে, অন্য কিছু দেখার আগে পার্থক্যটাই দেখে ফেলে সবচেয়ে বড়ো করে। চোখে পড়ে উঁচু কত উঁচু, নীচু কেমন নীচু। পৃথিবীতে উন্নতির কোনো অবধি নেই। সভ্যতা ক্রমাগত এগুচ্ছে। এগুলো ধুলোবালি কিছু না কিছু চারদিকে ছড়িয়ে পড়বেই। বিষাক্ত গ্যাস বের হবে, দূষিত হবে পরিবেশ, বিপন্ন হবে পৃথিবী । অবধারিত এসব ঘটনা। ঘটবেই। এবং তা নিয়ে হট্টগোলও হচ্ছে বড়ো কম নয়। ওদিকে মানবাধিকারের প্রশ্ন নিয়েও পৃথিবীর দুশ্চিন্তার কোনো অবধি নেই, বিরামও নেই। চীনে রাষ্ট্রবিরোধী একটি দলকে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল, কিছুদিন আগে। ঘটনার পরে এ যুগে মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে প্রধান সেনাপতি আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র যেই একটি হুমকি দিয়েছে, অমনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অতবড়ো দেশ চীন, এককালে যে বিখ্যাত ছিল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রতি আপোসহীন বিরোধিতার জন্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে স্বীকার করত না বলে থোড়াই কেয়ার যে করত, সেই গণপ্রজাতান্ত্রিক মহাচীন প্রায় মাফ চাওয়ার মতো করে ওই অপরাধীদের ছেড়ে দিয়েছে। মানবাধিকারের এখন বুঝি জয়জয়কার।
Title | মাঝখানের মানুষেরা |
ISBN | 978-984-95167-4-3 |
Author | সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী |
Publisher | ভোরের কাগজ প্রকাশন |
Country | বাংলাদেশ |
Edition | প্রথম সংস্করণ জুন ২০২১ |
Editor | সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী |
Language | বাংলা |
Number of Pages | ১৩৫ |
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক ! জন্ম ১৯৩৬ সালে ২৩ জুন, বিক্রমপুরে। প্রায় শত গ্রন্থের রচয়িতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী অধ্যাপক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের। কিন্তু তাঁর কৌতূহল ও কাজের পরিধি সাহিত্য ছাড়িয়ে বিচিত্র দিকে ছড়িয়ে পড়েছে । তাঁর গবেষণা ও লেখালেখির মূল অনুপ্রেরণা সাম্যের স্বপ্ন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি সম্পাদনা করেছেন পত্রিকা, সম্পৃক্ত হন জনমুখী আন্দোলনে। সেসবের পেছনেও একই স্বপ্নের তাড়না। বর্তমানে তিনি নতুন দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক। দীর্ঘকাল তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন । দুবার তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের উপাচার্য নিয়োগের প্যানেলে মনোনয়ন পেলেও ভিসি পদ প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওসমানী উদ্যান, লালন ফকিরের আখড়া, আড়িয়াল বিল রক্ষাসহ নানা আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যুক্ত থেকেছেন দেশের নানা গণতান্ত্রিক ও সামাজিক আন্দোলনে। বর্তমানে তিনি ‘সমাজতান্ত্রিক বৃদ্ধিজীবী সংঘে’র আহবায়ক। ইতিহাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রিয় বিষয়। সাধারণভাবে জাতীয়তাবাদ এবং বিশেষভাবে বাঙালির ইতিহাসধারায় জাতীয়তাবাদের বিবর্তন ও প্রভাব তাঁর নানা গবেষণাগ্রন্থের প্রিয় বিষয়। ১০ বছর ধরে ধারাবাহিক প্রকাশিত তাঁর জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি বইটি ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষসেরা গ্রন্থের পুরস্কার পেয়েছে। বাংলা একাডেমি পুরস্কার একুশে পদকসহ বহু সম্মাননা পেয়েছেন ।