এ উপন্যাস বাংলাদেশের জন্মের প্রত্যক্ষদর্শি ইতিহাস যা বাঙালির অনুভবকে নিয়ে যায় জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের পাদপ্রদীপে।
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৭ দিন ফেরতযোগ্য
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৭ দিন ফেরতযোগ্য
এ উপন্যাস বাংলাদেশের জন্মের প্রত্যক্ষদর্শি ইতিহাস যা বাঙালির অনুভবকে নিয়ে যায় জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের পাদপ্রদীপে।
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৭ দিন ফেরতযোগ্য
এ উপন্যাস বাংলাদেশের জন্মের প্রত্যক্ষদর্শি ইতিহাস যা বাঙালির অনুভবকে নিয়ে যায় জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের পাদপ্রদীপে। এ উপন্যাস বহুমাত্রিক; সেই আশ্চর্য সময়ের প্রেম, দ্রোহ, যন্ত্রনা, দেশত্যাগ, নির্বিচার গণহত্যা, নারী ধর্ষণ— সবই বিধৃত হয়েছে এতে পরিপূর্ণ মুন্সিয়ানায়। ধর্ম, সংস্কার ভুলে বাঙালি কীভাবে বাঙালি হয়ে ওঠেছিল, মনুষত্বের সেই নির্ভেজাল ছবি আত্মজৈবনিক এই উপন্যাসটিতে এবং অনুপম কারুকার্যে। ভাষার আরম্বর কারুকাজ,আবেগের সংযত প্রকাশ এবং বৈদগ্ধমন্ডিত সরসতা গ্রন্থটিকে মহান কথাসাহিত্যের মর্যাদা দিয়েছে। পড়তে গিয়ে মনে হবে এক একটি খন্ড যেন এক একটি সবাক চিত্র। জাতীয় যুদ্ধের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনকারী লেখকের হাতে স্বাধীনতা প্রাপ্তির জীবন্ত উপাখ্যান ‘সোনালি ঈগল ও উদ্বাস্তু সময়।’
Title | সোনালি ঈগল ও উদ্বাস্ত সময় |
ISBN | 978-984-97516-7-0 |
Author | হারুন হাবীব |
Publisher | ভোরের কাগজ প্রকাশন |
Country | বাংলাদেশ |
Edition | ফাল্গুন ১৪২৯, ফেব্রুয়ারি ২০২৩ |
Editor | হারুন হাবীব |
Language | বাংলা |
Number of Pages | 296 |
মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে তিনটি অস্ত্র চালাবার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন হারুন হাবীব। কলম, ক্যামেরা ও স্টেনগান। যুদ্ধ শেষে যে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকতা ও সাহিত্যের অঙ্গনে প্রবেশ করেন তিনি তাঁদের অন্যতম। বরেণ্য লেখক হারুন হাবীব একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, কলামিস্ট ও সাংবাদিক। বাংলাদেশের যুদ্ধ-সাংবাদিকতার ইতিহাসে তাঁর ভূমিকা অনন্য। গেরিলা যোদ্ধা হয়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র ‘জয় বাংলা’ পত্রিকা ও ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’-এর ১১ নম্বর সেক্টরের যুদ্ধ-সাংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। সেই সুবাদে তাঁর ক্যামেরায় বন্দি হয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের দূর্লভ সব ছবি-যা জাতীয় ইতিহাসের সম্পদ। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান লেখক হারুন হাবীব একাত্তরের জাতীয় রণাঙ্গনকে তুলে ধরেছেন একনিষ্ঠ মমতায়-নতুন প্রাণে সঞ্চারিত করেছেন জাতির মহত্তম ইতিহাসকে। তাঁর লেখালেখির আছে নিজস্ব পরিভাষা, ব্যক্তি অভিজ্ঞতায় অকৃত্রিম অন্তরিকতার গুণ, যা তাঁকে আর সকলের চাইতে আলাদা করে তোলে। তাঁর ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, মুক্তিযুদ্ধ-গবেষণা ও স্মৃতিকথাসহ সার্বিক লেখালিখির প্রধান বৈাশিষ্ট্য-তিনি নিরবচ্ছিন্ন ধারায় তুলে ধেরেন মুক্তিযুদ্ধকে, জাতির মহত্তম সময়কে, অসাম্প্রদায়িক জাতি-সত্ত্বার অর্জন ও তার প্রতিপক্ষকে। এমন কি জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ১৯৭৫ পরবর্তী প্রবল প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিবেশেও সমাজ- প্রগতি ও স্বাধীনতার পক্ষে কলম ধরেছেন তিনি-মুক্তিযুদ্ধের লুন্ঠিত গৌরব পুনরুদ্ধারে থেকেছেন সক্রিয়। হারুন হাবীব ছুটে বেড়িয়েছেন একাত্তরের ট্রেঞ্চ থেকে ট্রেঞ্চে, ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প, যুদ্ধকালীন প্রচার-প্রকাশনার প্রয়োজনে এক রণাঙ্গন থেকে আরেক রণাঙ্গনে। মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখার সুযোগ লাভ করেন তিনি। এই মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধ-সাংবাদিক রৌমারী, চিলমারী, কুদালকাটি, রাজীবপুরের রণাঙ্গনগুলির প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা-সমৃদ্ধ। বৃহত্তর জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, বক্সিগঞ্জ, শেরপুর ও বৃহত্তর রংপুরের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা নিয়ে যে ১১ নম্বর যুদ্ধাঞ্চল, তা তাঁর স্মৃতির রণাঙ্গন। ফলে তাঁর লেখার প্রধান উপজীব্য হয়েছে এই এলাকার মাটি ও মানুষ, এবং ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি হয়েছে এই অঞ্চলের দুর্লভ সব রণাঙ্গন চিত্র-যা জাতীয় ইতিহাসের অনন্য দলিল। জাতীয় সাংবাদিকতায় হারুন হাবীব একটি উজ্জ্বল নাম। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাঁর কলাম, নিবন্ধ ও পর্যালোচনা বাংলাদেশকে আজও সমৃদ্ধ করে চলেছে। সময়ের সাহসী সন্তান হারুন হাবীব মুক্তিযুদ্বের চেতনাবিকাশ আন্দোলনের অন্যতম সাহসী সৈনিক। মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৪৮ সালে তাঁর জন্ম।